ইসরায়েলের অবৈধ বসতি শান্তির পথে বাধা: জাতিসংঘ মহাসচিব

ইসরায়েলের অবৈধ বসতি শান্তির পথে বাধা: জাতিসংঘ মহাসচিব

ফাইল ছবি

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলকে অবিলম্বে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সব ধরনের বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের অগ্রগতির পরিকল্পনাকে 'উত্তেজনা ও সহিংসতা' এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে প্রধান বাধা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালালে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন ৯০ জনেরও বেশি। এছাড়া নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রিসভা অবৈধ বসতি স্থাপন বৃদ্ধির একটি পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে।

সোমবার জেনিন ক্যাম্পে হেলিকপ্টার থেকে রকেট নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা এই প্রথম। এ সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ছোট অস্ত্র এবং বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রতিরোধ করেছে। এর মাধ্যমে তরা বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সামরিক যানকে নিষ্ক্রিয় করে এবং সেনাদের ভেতরে আটকে রাখে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে আটজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, 'মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে অধিকৃত এলাকায় বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অবৈধ বসতিগুলোর সম্প্রসারণ উত্তেজনা ও সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে।'

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, 'এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে আরও ঢেকে দেয়, ফিলিস্তিনি ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদে দখল করে, ফিলিস্তিনি জনগণের অবাধ চলাচলে বাধা দেয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের বৈধ অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।'

হক বলেন যে, গুতেরেস ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা পদ্ধতি সংশোধন করার সিদ্ধান্তে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। এটি পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাকে দ্রুততর করবে।

রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার নতুন আবাসন ইউনিটের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। এর মাধ্যমে আগের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে অতি-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচকে। পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় ৪,৫৬০টি বসতি নির্মাণেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ফিলিস্তিনি দলগুলো বলেছে যে, এর মাধ্যমে ইসরায়েল শিগগিরই পুরো পশ্চিম তীরের দখল নিতে পারে।

সূত্র: আল জাজিরা