ইউক্রেন যুদ্ধে ৪৭৭ শিশুর মৃত্যু: জাতিসংঘ

ইউক্রেন যুদ্ধে ৪৭৭ শিশুর মৃত্যু: জাতিসংঘ

সংগৃহীত

জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭৭ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হাসপাতালে ভর্তি কয়েক হাজার শিশু। ফলে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

শেষ এক বছরে শুধুমাত্র রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের ১৩৬ জন শিশু নিহত হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট এবং বিমান হামলায়।

ভয়াবহ এই তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরব হয়েছে। শিশু মৃত্যুর এই বিশাল সংখ্যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। কিন্তু ইউক্রেন এবং রাশিয়া কোনোপক্ষই এই বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে। ক্রমে তা যুদ্ধে রূপ নেয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৭৫ লাখ শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়। যুদ্ধে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। ব্রিজ ধ্বংস

এদিকে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের মিসাইল রাশিয়া অধিকৃত খেরসন এবং ক্রিমিয়ার মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। রাশিয়া নিয়োজিত দুই অঞ্চলের প্রশাসনই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে। বস্তুত, খেরসনের রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর জানিয়েছেন, সেতুটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গাড়ির চলাচল ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সেতুটি মেরামতির কাজ শুরু করেছেন।

রাশিয়ার দাবি, স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। পরপর তিনটি মিসাইল গিয়ে আঘাত করে ওই সেতুতে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে।

খেরসন ইউক্রেনের অংশ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অঞ্চলে তীব্র লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত রাশিয়ার সেনা এই অঞ্চল দখল করে। ইউক্রেনের সেনা ওই অঞ্চলে ফের পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে ক্রিমিয়া দখল করেছিল। চোগার ব্রিজ খেরসনের সঙ্গে ক্রিমিয়ার অন্যতম যোগসূত্র। সে কারণেই ওই ব্রিজটিকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।