রাজশাহীতে জমজমাট পশুর হাট

রাজশাহীতে জমজমাট পশুর হাট

সংগৃহীত

রাজশাহীতে এখন জমজমাট পশুর হাট। তবে দাম কমছে না পশুর। ফলে মানুষের ভিড়ে পশুর হাট জমে উঠলেও কেনাবেচা হচ্ছে কম। মানুষ কেবল দর-দাম করেই হাট মাতিয়ে তুলছেন। 

সোমবার রাজশাহীর পশুর হাটে মানুষের স্রোত নামে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সিটি হাটে এদিন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। শুধু সিটি হাট নয়, জেলায় সব হাটেই পর্যাপ্ত গরু-ছাগলে ভরে ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির জন্য পছন্দের পশু কিনতে এখন বেশির ভাগ মানুষই হাটে ছুটছেন। তবে যাদের কোরবানির পশু রাখার জায়গা নেই তারা এখনো আছেন চাঁদ রাতের অপেক্ষায়। হাটে একদিকে যেমন দর-দাম চলছে, অন্যদিকে কেনাবেচাও চলছে। বাজারে মাংসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় কোরবানির পশুর দামও প্রায় দ্বিগুণ। খামারি ও ব্যবসায়ীরা মাংসের দামের কেজি হিসেবে পশুর দাম নির্ধারণ করছেন।     

কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দাম হাঁকছেন। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়ি।

রাজশাহী সিটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির জন্য সবাই ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুই বেশি খুঁজছেন। তাই বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর দাম বেশি। তবে ১ লাখ টাকার নিচে গরুই নেই। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ও কাটাখালী হাটেও এদিন ছিল ভিড়। 

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, এবার নানা কারণেই কোরবানির পশুর দাম বেশি। সীমান্তও বন্ধ। হাটে ভারতীয় গরু নেই। হাটে দেশি জাতের গরুতেই ভরপুর। ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ সময়ে হাটে ক্রেতার সংখ্যাও বেশি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত