ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস শনিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস শনিবার

সংগৃহীত

আগামী ১ জুলাই, শনিবার ১০৩তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শনিবার সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহ স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের পায়রা চত্বরে যাবেন।

সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়’ নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আলোচনা সভায় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জনসাধারণের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কগুলোতে আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডগুলোতে সাজসজ্জা করা হবে।