নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী

নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত

নির্বাচনী এলাকায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় আছেন তিনি। এ সময় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন।

শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা ভবনের সামনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর খাবারের তালিকায় ছিল সাদা ভাত, পোলাও, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কয়েক প্রকারের মাছ, সবজি, ডাল ও সেমাই।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগে ঈদে গোপালগঞ্জে আসলে মন্ত্রী কিংবা কূটনৈতিকদের সঙ্গে খাবার খেয়েছেন। এভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে খাননি। কোটালীপাড়ায় এবারই প্রথম। এটা বিরল। আমরা তৃণমূলের কর্মীরা খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত।

এর আগে শনিবার (১ জুলাই) সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালীপাড়া পৌঁছান। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রীকে।

কোটালীপাড়া পৌঁছে প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, বিকেলে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন। রাতে সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করবেন।

পরদিন রোববার (২ জুলাই) সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরে নিজ বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন। এরপর দুপুর ১টায় সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।