হজের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন আরও ৪১৯ হাজি

হজের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন আরও ৪১৯ হাজি

ফাইল ছবি

চলতি বছরের হজ পালন শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাজিরা। এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফিরতি হজ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪১৯ হাজি। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফিরতি প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৫ জন হজযাত্রী।

সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাতে সৌদি আরবের মদিনা মনোয়ারা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের এই ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। আজ ভোরে বিমানের ওই ফ্লাইটে দেশে আসেন হাজিরা। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল সাতটার দিকে তারা বিমানবন্দর থেকে বের হন। এ সময় বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হাজিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় সব হাজিকে জমজম কূপের পানির পাঁচ লিটারের একটি বক্স দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফিরতি প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৫ জন হজযাত্রী। তখন বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান হাজিদের অভ্যর্থনা জানান।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন। এসব হজযাত্রী বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করা যায়নি। সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।

এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে গেছেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ ও বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।