পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন : ভোটের প্রথম ৪ ঘণ্টায় নিহত ৫

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন : ভোটের প্রথম ৪ ঘণ্টায় নিহত ৫

সংগৃহীত

খারতের কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়- শনিবার ভোটের সকালে প্রথম চার ঘণ্টায় পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

হিংসার যে ছবি শনিবার সকাল থেকে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে তা নজিরবিহীন বলা যাবে না। অনেকের মতে, রক্ত, লাশের ঐতিহ্য মেনেই গ্রামের সরকার গঠনের ভোট হচ্ছে।

তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোট হবে আর আলপথ রক্তে লাল হবে না, তা অবার হয় নাকি? তবে এ বার আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোটের কথা বলা হয়েছিল। যদিও শুক্রবার রাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, পুরোপুরি ৮২২ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে আসছে না।

প্রথম চার ঘণ্টায় যে ভোট পড়েছে তা অনেক নয়, আবার কমও নয়। বহু জায়গায় ব্যালট পেপার ছিনতাই, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বুথ দখলের চেনা ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদেই জোড়া খুন হয়েছে। রেজিনগর এবং খড়গ্রামে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। নদিয়ার চাপড়ায় প্রাণ গেছে শাসক দলের কর্মীর। আর এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের মানিকচকে। কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভার ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটেরহাট ৩৮ নম্বর বুথের মধ্যেই বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মাধব বিশ্বাস নামে এক বিজেপি এজেন্টের।

বিরোধীরা যেমন হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে তেমন তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, একের পর এক তাদের কর্মীর মৃত্যুতেই স্পষ্ট, কারা হিংসাশ্রয়ী নির্বাচন করছে। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কোথায় প্রশাসন, কোথায় নির্বাচন কমিশন, কোথায়ই বা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী? বহু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি। কোথাও আবার দেখা গেছে বুথের ভেতরে লুট চলছে, বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। ভোট শেষ হতে আরো ৬ ঘণ্টা বাকি। আরো কী কী অপেক্ষা করে আছে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

সূত্র : আনন্দবাজার