‘বিএনপিকে অপরাজনীতির সুযোগ দেবে না জনগণ'-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

‘বিএনপিকে অপরাজনীতির সুযোগ দেবে না জনগণ'-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ছবিঃ সংগৃহিত।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই দেশের জনগণ বিএনপিকে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না। এদেশে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করা আর কারো পক্ষে সম্ভব না।’

শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশিকের স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত সাবেক-বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ও মেয়র-কাউন্সিলররা অংশ নেন। 

বিএনপিকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সঙ্গে আছে তা পরখ করে দেখুন। ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবেন না বলে ভাষণ দিচ্ছেন। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দেবে না বলে, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।’ 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “২০০৬ সালে বিএনপি যে বাজেট দিয়েছিল তার চাইতে এবারের বাজেটের আকার সাড়ে ১১ গুণ বড়। এখন গ্রামে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ‘গ্রাম হবে শহর’ ছিলো গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। সমগ্র বাংলাদেশ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। এখন দেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সাথে ১৫ বছর আগের চিত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শোনে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতু বন্ধন রচনা করেন। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কারণে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আপনারা হাঁটে, মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানের আড্ডায় যখন কথা বলেন, তখন সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো বলতে পারেন। এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে পার্থক্য নেই সেটি মানুষকে বলতে হবে।’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকারকে শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন বলেই চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও শক্তিশালী হয়েছেন। গ্রাম আদালতও এখন কার্যকর। গ্রাম আদালত এখন আইনদ্বারা বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। এরকম আগে ছিলো না। আগে গ্রাম আদালত কিছুদিন থাকলেও পরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেটি আমাদের সরকার আবার চালু করেছে। এভাবে স্থানীয় সরকারকে শেখ হাসিনার সরকার শক্তিশালী করেছেন।’ 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর প্রমুখ।