তিস্তার পানি বিপৎসীমা পেরিয়েছে

তিস্তার পানি বিপৎসীমা পেরিয়েছে

ফাইল ছবি

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বৃহষ্পিতাবর তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত প্রায় ১২টি চরাঞ্চলের গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আজ তিস্তা নদীর পানি সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল নয়টায় ২ সেন্টিমিটার কমলেও দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, গতকাল বুধবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ বেলা একটা পর্যন্ত ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই মৌজার প্রায় ৯০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি ওঠে। পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পানিবন্দী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে বলা হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপনীর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ইউনিয়নের ছোট খাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় সাড়ে চার শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডার ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেইন বলেন, আজ তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় ইউনিয়নের হলদিবাড়ি ও ভবনচুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেলা একটা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে সকাল থেকে। দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুর্বল স্থানগুলো শক্তিশালী করতে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে।