বিক্রিত আম পচা, বিক্রেতার দাদাকে পিটিয়ে মারল ক্রেতা

বিক্রিত আম পচা, বিক্রেতার দাদাকে পিটিয়ে মারল ক্রেতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

পচা আম বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে ক্রেতা বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেছে ফল ব্যবসায়ীর দাদাকে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়ার সিরাজুল মার্কেটে।

প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে কালিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় কাকিনা সিরাজুল মার্কেটের ফল ব্যবসায়ী গঙ্গাচড়ার লক্ষিটরীর চর ইশরকুল গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের কাছ থেকে এক কেজি হাড়িভাঙ্গা আম কেনেন পাশের লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনার তাবলীগপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে শাহীন। বাজারেই আম কেটে খাওয়ার সময় তাতে পচা বের হয়। এরপর শাহীন ওই পচা আমটি ওই দোকানীর ওপর ছুড়ে মারেন। এনিয়ে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে পচা আমের বদলে একটি আম দিয়ে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উভয়কে শান্ত করেন। পরে ঘটনাটি সমঝোতার জন্য মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়।

ওসি জানান, কিন্তু বৈঠক হওয়ার আগেই মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শাহীন ও শামীম আবারো দোকানে ঢুকে আনোয়ারুলকে মারপিট করতে থাকে। এতে তাদের বাধা দেন সেখানে থাকা আনোয়ারুলের বৃদ্ধ দাদা আজিজার রহমান (৭০)।

এসময় তারা আজিজারকেও উপর্যুপুরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সেখানে লুটিয়ে পড়েন। তখনো তাকে মারপিট করা হয়। ফলে আজিজার মারা যান। ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই ও লাশ উদ্ধার করি। পরবর্তীতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিভাবে জড়িতদের শনাক্ত করা গেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

মৃত আজিজারের ভাতিজা সুরুজ আলী জানান, যারা আমার জেঠাকে হত্যা করেছে। তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমার জেঠা ওই দোকানের সামনে বসে থেকে সময় কাটান। তারা এভাবে পিটিয়ে হত্যা করল কেন এর আমি বিচার চাই।

স্থানীয় লক্ষিটারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বাকী জানান, আজিজার চাচা সব সময় ওই ফলের দোকানে বসে থাকেন। আমের মধ্যে পোকা থাকতেই পারে। পচা হতেই পারে। আমি যতটুকু জেনেছি শাহীন, শামীম ছাড়াও আরো দু'জন ইন্ধনদাতা ছিল। তিনি বলেন, যারা হত্যা করেছে এবং স্থানীয় যারা সহযোগিতা করেছে, সবার ফাঁসি চাই। তাহলে কখনো কেউ আর এধরণের অপরাধ করার সাহস পাবে না।

এদিকে রাত সোয়া ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় সেখানে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এনিয়ে পরিস্থিতির যাতে আর কোনো অবনতি না হয়, সেজন্য ওই এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।