ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বুলবুলকে হত্যা: পুলিশ

ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বুলবুলকে হত্যা: পুলিশ

সংগৃহীত

যশোরে বুলবুল হোসেনকে তার ইজিবাইক চুরির উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার কারার পর বুধবার (১২ জুলাই) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বেলাল হোসাইন সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পুরাখালী গ্রামের বাসিন্দা এসার আলী (৩১), শংকরপুর ইসহাক সড়কের মামুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহমুদ ওরফে মামুন (৩৮), শংকরপুর মেডিকেল কলেজপাড়ার শুকুর আলী (২০), গোলপাতা মসজিদ পশ্চিমপাড়ার জুয়েল (৩৮), শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার হৃদয় (২৩) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নয়কাঠি গ্রামের আকবর গাজী (২৮) ও ইব্রাহিম গাজী (২৪)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজের পাশের পাটখেত থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মরদেহটি ইজিবাইকচালক বুলবুল হোসেনের (৩৬) বলে শনাক্ত হয়। বুলবুল যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত শেখ আব্দুর রশিদের ছেলে। নিহতের ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, তাঁর ভাই বুলবুল ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজারহাট থেকে ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক নিয়ে যশোর শহরের দিকে যান। এরপর তাঁর আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে পাটখেত থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ শনাক্ত করে নিহতের ভাই ফরহাদ গত ১১ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল ও সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে একটি দল তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তারা আসামিদের শনাক্ত করেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত শহরের শংকরপুর ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের  গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ছিনতাই করা ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুলবুলকে হত্যায় ব্যবহৃত গামছা ও ওড়না জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য তাঁরা চালক বুলবুল হোসেনকে ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যান। মনিহার থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এবং রাস্তায় জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে বুলবুলকে হত্যা করেন তারা।  পরে লাশ পাটখেতে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে চলে যান আসামিরা।