বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপরে দুধকুমারের পানি

বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপরে দুধকুমারের পানি

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভূরুঙ্গামারীর সাতটি ইউনিয়নের ৪০টি মতো গ্রাম প্লাবিত ও ২০ হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, উত্তর ধলডাঙ্গা, কাজিয়ারচর, চরপাড়া, নামাচর, চর উত্তর তিলাই ও শালজোড় গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাত হাজার মানুষ।

তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ঢাকাইয়া পাড়া, বটতলা, বয়জুল্লারচর ও খোঁচাবাড়ি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এই গ্রামগুলোর তিন হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয় ছাড়ার পাড়, মাঝিপাড়া ও নলেয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন বলেন, ইসলামপুর, ধুলারকুটি, হুচারবালা, আরাজি পাইকডাঙ্গা, শিমুলতলা, খাসেরচর, চরুয়াটারি, কদমতলা, ভেল্লিকুড়ি ও ত্রিমোহনী গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন হাজার মানুষ।

পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, পাইকেরছড়া, আসামপাড়া, ঢাকায়াপাড়া, মাওলানপাড়া, নামাপাড়া, পাইকডাঙ্গা, ছিটপাইকেরছড়া, গছিডাঙ্গা ও বেলদহ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চার হাজার মানুষ।

আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন, ডারারপার, সাতকুড়ার পাড়, দক্ষিণ বারুইটারি, মধ্য বারুইটারি, হেলোডাঙ্গা, দক্ষিণ পাড়া, কানিপাড়া, পূর্বপাড়, পশ্চিম পাড়, চাঁদনি বাজার, একতা বাজার ও নামচর গ্রাম তলিয়ে গেছে। গ্রামগুলোর পাঁচ হাজার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় আছে।

বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক বলেন, সুতিপুরি ও উত্তর বলদিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থা আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য পাঁচ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল চেয়ারম্যানরা সেগুলো বিতরণ করবেন।