লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১

সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কৃষক দলের মো. সজীব নামের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হল ও রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের ২০ থেকে ২৫ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করছিলেন তারা। এসময় পুলিশ বাধা দেয়। নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে মো. সজীব নামে কৃষক দলের একজন কর্মী নিহত হন। এসময় পুলিশের ছররা গুলিতে তাদের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তিনি জানান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের গোডাউন রোড এলাকার বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে এ্যানীর বাসভবন থেকে বিকেল চারটার দিকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। এর আধাঘণ্টা পর রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের কাছে পদযাত্রাটিকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই পদযাত্রা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকা, রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতাল, মটকা মসজিদ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাখানেক উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুই পক্ষের ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে আনা হয়। ওই ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, বিএনপির পদযাত্রা গোডাউন রোড পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও নেতাকর্মীরা সরাসরি রামগতি সড়কে যেতে চায়। সেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তাদের। এসময় পদযাত্রাটিকে রামগতি সড়কে যেতে চাইলে বাধা দেয়া হয়। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করা হয়। এতে তিনিসহ ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছোড়া হয়।

তিনি আরও জানান, ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছেন।