জয়পুরহাটে আ’লীগ বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩৭

জয়পুরহাটে আ’লীগ বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩৭

প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে শহরের রেলগেট এলাকায় দু’দলের সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিএনপির পার্টি অফিস ব্যাপক ভাঙচুর করে। পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে জয়পুরহাট কেন্দ্রিয় মসজিদ-সংলগ্ন পার্টি অফিসের সামনে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সেখানে থেকে শান্তি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের শেষে পৌনে ৫টার দিকে পার্টি অফিসে ফিরছিল। একই সময় শহরের নতুনহাট থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্টেশন রোড হয়ে পদযাত্রা নিয়ে তাদের রেলগেটস্থ এলাকার দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়লে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পথচারীসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পুলিশসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করে।

এ সময় পুলিশ শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহত নেতাকর্মীদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা ও ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকতসহ আটজন আহত হয়েছেন। তিনি এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের পদযাত্রায় হামলা চালিয়ে আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। একইসাথে আমাদের দলীয় অফিসও ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হান উজ্জ্বলের বুকে এবং কালাইয়ের আসলাম মন্ডলের পিঠে সাতটি বুলেট লেগে মারাত্মক আহত হয়েছে। যুবদলের রনি এবং পিয়াসসহ আহতদেরকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করা হয়। তিনি বলেন, এ সময় আমাদের চারজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়।