চাল রফতানি নিষিদ্ধ করলো ভারত

চাল রফতানি নিষিদ্ধ করলো ভারত

সংগৃহীত

আতপ চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক পরিদফতর এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আতপ চাল নিয়ে আমাদের রফতানি নীতি পরিবর্তন করে মুক্ত থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই ঘোষণা আসার আগে যেসব প্রতিষ্ঠান চাল রফতানি প্রক্রিয়া শুরু করে ফেলেছিল বিশেষ শর্তে তাদের রফতানির অনুমতি দেয়া হবে।

এর আগে মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার বেশিরভাগ চাল রফতানির বন্ধ করার চিন্তা করছে। এতে করে দেশটির ৮০ শতাংশ চাল রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং দেশের বাজারে চালের দাম কমতে পারে। এই ধরনের পদক্ষেপ অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমাতে সহায়ক হলেও বিশ্বজুড়ে চালের দামে আরো বেশি উল্লম্ফনের ঝুঁকি তৈরি করবে। বিশ্ব বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি করে থাকে ভারত। ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির যেসব স্থানে ধান জন্মাতো, সেখানে অনিয়মিত বৃষ্টির করণে ফলন ভালো ছিল না। এতে করে গত ১০ দিনে চালের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ কয়েকটি রাজ্যের নতুন রোপণ করা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, অনেক এলাকার কৃষককে পুনরায় ধান রোপণ করতে হয়েছে।

ভিয়েতনামে রফতানি করা চালের দাম এক সপ্তাহে যতটা বেড়েছে তা গত এক দশকেও বাড়েনি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কমার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছিল না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানি বন্ধ হতে পারে এমন শঙ্কায় চালের দাম আরো বেড়ে গেছে। রফতানি বন্ধ হলে ব্যবসা কমে যাবে এই শঙ্কায় তারা দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়।

দেশটির চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (আরইএ) এর প্রেসিডেন্ট বি.ভি কৃষ্ণা রাও বলেন, সরকার ধান প্রক্রিয়ার খরচ বাড়ানোয় চালের দাম বেড়েছে। অসহায়দের সাহায্য করার জন্য চাল মজুদ করে রেখেছে। এমন অবস্থায় চাল রফতানি বন্ধ করার প্রয়োজন ছিল না।