আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন থিরিমান্নে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন থিরিমান্নে

লাহিরু থিরিমান্নে

প্রায় চার বছর ধরে ওয়ানডে দলে সুযোগ হয় না লাহিরু থিরিমান্নের। সবশেষ টেস্টও খেলেছেন বছরখানেক আগে। নিকট ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ফেরার আশা না থাকার কারণেই সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই ব্যাটসম্যান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গত শনিবার ১৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দেন থিরিমান্নে। ২০২২ সালের মার্চে ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্ট হয়ে রইল শ্রীলঙ্কার জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ। সিদ্ধান্তটি নেওয়ার পেছনে যে কিছুটা অভিমান কাজ করেছে, সেটা ফুটে উঠেছে ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের পোস্টে।

তিনি জানান, খেলোয়াড় হিসেবে আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, খেলাকে সম্মান করেছি এবং মাতৃভূমির প্রতি সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। সিদ্ধান্তটি নেওয়া ছিল কষ্টের। অনেক অপ্রত্যাশিত কারণ আছে, যা আমাকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে, তবে আমি সেসব এখানে উল্লেখ করতে পারছি না। এসএলসির সদস্য, কোচ, সতীর্থ, ফিজিও, ট্রেইনার ও অ্যানালিস্টদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহায়তা ও উৎসাহের জন্য।

২০১০ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পথচলা শুরু হয়ে থিরিমান্নের। পরের বছর টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় তার। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি ২০১২ সালে। লঙ্কানদের হয়ে ৪৪ টেস্ট, ১২৭ ওয়ানডে ও ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন থিরিমান্নে। সাদা পোশাকে ৩ সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিতে ২ হাজার ৮৮ রান করেছেন তিনি। যার মধ্যে দুইটি সেঞ্চুরিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৩ হাজার ১৯৪ রান করেছেন থিরিমান্নে। ৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ২১টি। আর টি-টোয়েন্টিতে তার রান ২৯১।

থিরিমান্নের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওই আসরে যদিও তেমন একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। ফাইনালসহ ৩ ম্যাচ খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলেন থিরিমান্নে। এছাড়া জাতীয় দলকে পাঁচটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তার।