পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করছেন না বাবর-রিজওয়ানরা

পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করছেন না বাবর-রিজওয়ানরা

সংগৃহীত

আগামী ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। এর আগে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। আসন্ন এই দুই মেগা আসরের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে বেঁকে বসেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

পিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের ২০২২–২৩ মৌসুমের কেন্দ্রীয় চুক্তি গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। তবে নতুন মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ২০২৩–২৪ মৌসুমের চুক্তিতে সই করেননি তারা। নতুন চুক্তিতে বেতন বাড়লেও তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নয় বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা।

দেশটির ক্রিকেটাররা চান পুরো কেন্দ্রীয় চুক্তিই ঢেলে সাজানো হোক। এর মধ্যে বেতন বৃদ্ধি তো আছেই, পাশাপাশি বিমা সুবিধা, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ নীতিমালা এবং লভ্যাংশ বণ্টনের মতো বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি চান বাবর-রিজওয়ানরা। তবে বোর্ড এই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় এমন সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের।

ক্রিকেট পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন পিসিবির সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটি বাবরদের বেতন ৪৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে গেছেন। তবে ক্রিকেটাররা এর চেয়েও বেশি চান। তাই বোর্ডের সঙ্গে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থায় ক্রিকেটাররা। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান না হলে সংকটে পড়তে পারে দেশটির ক্রিকেট।

২০২২–২৩ মৌসুমের চুক্তির সময় আগের বারের চেয়ে ১০ শতাংশ ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছিল। তখন সাদা ও লাল বলে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য টেস্টে ৫০ হাজার, ওয়ানডেতে ২৫ হাজার এবং টি–টোয়েন্টিতে ১৫ হাজার রুপি ধার্য হয়েছিল। আর ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা বাবর, রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদির মাসিক বেতন ছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার রুপি করে। অন্যদের বেতনও আনুপাতিক হারে বাড়ানো হয়েছিল।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নতুন চুক্তিতে বেতন বৃদ্ধির হার বাড়ানোর পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধার সংযোজন চান ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে আছে পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য বিমা ও শিক্ষাবিষয়ক নীতি যুক্ত করা। ভয়ানক চোটে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেলে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ার ভয় তাদের। আবার আইসিসি টুর্নামেন্ট থেকে পিসিবি যে আয় করে, সেটির একটি অংশও চান ক্রিকেটাররা। চান পিসিবির পৃষ্ঠপোষকদের তালিকাও, যাতে তারা লাভবান হতে পারেন।

এমন অবস্থায় বেশ উত্তাল দেশটির ক্রিকেটাঙ্গন। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন সমস্যা মাঠে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এজন্য এখনই নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে জাকা আশরাফের নেতৃত্বে থাকা পিসিবিকে।