পাবনা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র নাটোরে উদ্ধার

পাবনা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র নাটোরে উদ্ধার

অপহরণকারী আলী শারাফী ও স্কুলছাত্র মাহিম হোসেন

মাত্র ৫০ হাজার টাকার মুক্তিপণ আদায়ের জন্য পাবনার চাটমোহরে আপন মামাতো ভাইয়ের হাতে অপহৃত মাহিম হোসেন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের রাজ্জাক মোড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।মাহিম চাটমোহরের মোস্তালিপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে ও চড়ইকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

আটক আলী শারাফী (২৬) একই উপজেলার করকোলা গ্রামের রবিউল করিমের ছেলে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রের মা মাবিয়া খাতুন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাহিম ও আলী শারাফী সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। রোববার সন্ধ্যায় আলী শারাফী মোস্তালিপুর গ্রামে তার ফুপুর বাড়ি বেড়াতে যায়। কিছুক্ষণ পর ফুফাতো ভাই মাহিমকে সাইকেলে নিয়ে পাশের বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বেশ কিছু সময় পরে আলী শারাফী মাহিমের বাবার  মোবাইলে কল দিয়ে তার ছেলেকে অপরহণ করা হয়েছে জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।

এরপর তিনি আলী শারাফীকে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু আলী শারাফী বাকি টাকা দেয়ার জন্য বার বার ফোন করতে থাকে। সেদিন রাতেই বিষয়টি চাটমোহর থানা পুলিশকে জানালে মাহিমকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান সনাক্তের পর সোমবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহযোগিতায় চাটমোহর থানা পুলিশ কৌশলে রাজ্জাক মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত আলী শারাফীকে আটক ও মাহিমকে উদ্ধার করে।

স্কুলছাত্র মাহিম জানায়, বাজারে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মামাতো ভাই আলী শারাফী তাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে কৌশলে সাভার এলাকায় নিয়ে যায়। সোমবার সকালে সেখান থেকে ফের তারা বনপাড়া এলাকায় আসে। পরে রাজ্জাক মোড় এলাকায় আসার পর তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে।চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, বিষয়টি শুনে অল্প সময়ের মধ্যে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্তের পর ওই স্কুলছাত্রকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারসহ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।