আ'লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না : প্রধানমন্ত্রী

আ'লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না : প্রধানমন্ত্রী

আ'লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবে না বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না।মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান শীর্ষক’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের কাছ থেকে আমরা শুনছি যে আমরা (আওয়ামী লীগ) না কি পালানোর পথ পাবো না। তারা সংসদে না থাকায় যদিও তাদের বিরোধী দল বলা যায় না তবুও আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায়নি এবং কখনো পালাবেও না।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের প্রভু জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর এরশাদ ও খালেদা জিয়া চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

তিনি বলেন, খালেদা তার শাসনামলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। অনেকের ওপর নির্যাতন করা হয়। বাড়ি-ঘর দখল করাসহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা এমন অপকর্ম করেও টিকতে পারেনি।

খালেদার ছেলে তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যাদের দলের নেতা সাজাপ্রাপ্ত, তারাই এখন বড় বড় কথা বলছেন।শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরে আসেন।তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) ইতিমধ্যে পলাতক রয়েছেন। একজন দণ্ডিত পলাতক আসামির তত্ত্বাবধানে তারা এত বড় মন্তব্য করতে পারে কীভাবে?প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সংঘটিত অগ্নিসংযোগ এবং আ.লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি কর্তৃক অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যদি এক শতাংশ প্রতিশোধ (এসব অপকর্ম) নিতাম, এখন আপনার হদিস পাওয়া যাবে না। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না।শুরুতে শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী ও মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

সূত্র : ইউএনবি