ড্রাম খুলতেই নাকে এল একটা ঝাঁঝালো গন্ধ, তারপরই হুঁশ হারাল পরপর ৫ শ্রমিক

ড্রাম খুলতেই নাকে এল একটা ঝাঁঝালো গন্ধ, তারপরই হুঁশ হারাল পরপর ৫ শ্রমিক

প্রতীকী ছবি।

ওই গোডাউনে কেমিক্যাল মজুত থাকত। পাঁচজন শ্রমিক এসে কেমিক্যালের ড্রামগুলি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাচ্ছিলেন, হঠাৎই একটি ড্রামের ঢাকনা খুলে যায়। ঝাঁঝালো বিষাক্ত গ্য়াস বেরিয়ে আসতেই জ্ঞান হারান ওই ৫ শ্রমিক।

হুঁশ নেই কারোর, গোডাউন (Godown) থেকে একটানা বের হচ্ছিল বিষাক্ত গ্যাস (Toxic Gas)। সেই বিষাক্ত গ্যাস শরীরে প্রবেশ করতেই মৃত্যু হল গোডাউনে কর্মরত চার শ্রমিকের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও এক শ্রমিক। বুধবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গুজরাটের সুরাটে (Surat)। সেখানে নীলম ইন্ডাস্ট্রিজ নামক একটি সংস্থার গোডাউন থেকে বিষাক্ত গ্য়াস বেরনোর ফলে বহু শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। গোডাউনের মধ্যেই মৃত্যু হয় চার শ্রমিকের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার (২ জুলাই) সুরাটের মোতা বোরসারা গ্রামে বিকেল ৪টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওই গোডাউনে সবে বিকেলের শিফটে কাজ করা শুরু করেছিলেন কর্মী-শ্রমিকেরা। ওই গোডাউনে কেমিক্যাল মজুত থাকত। পাঁচজন শ্রমিক এসে কেমিক্যালের ড্রামগুলি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাচ্ছিলেন, হঠাৎই একটি ড্রামের ঢাকনা খুলে যায়। ঝাঁঝালো বিষাক্ত গ্য়াস বেরিয়ে আসতেই সংজ্ঞা হারান ওই ৫ শ্রমিক।

অন্যদিকে, বাকি শ্রমিকদের নাকেও ঝাঁঝালো ও কড়া গন্ধ আসে। প্রথমে কেউই গুরুত্ব দেননি, কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তেই তারা বুঝতে পারেন বিষাক্ত গ্যাস লিক হচ্ছে। তখনই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই পাঁচ শ্রমিককে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা চারজন শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি একজনের চিকিৎসা চলছে। তবে তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই গোডাউনের মালিককে আটক করা হয়েছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কোন কেমিক্যালের বিষাক্ত গ্যাস থেকে শ্রমিকদের মৃত্যু হল, তা এখনও জানা যায়নি।