ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্তহীন ভর্তির দাবি : কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের বাস অবরোধ কর্মকর্তাদের

ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্তহীন ভর্তির দাবি :  কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের বাস অবরোধ কর্মকর্তাদের

ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্তহীন ভর্তির দাবি : কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের বাস অবরোধ কর্মকর্তাদের

পোষ্য কোটাধারীদের জন্য ন্যূনতম আবেদন যোগ্যতা না রেখে শর্তহীনভাবে ভর্তির দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। শনিবার এ দাবিতে তারা সকাল নয়টা থেকে পাঁচ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এছাড়া দুপুর দুইটার শিফটের শিক্ষকদের গাড়িও আটকে দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন।  কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মবিরতির ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে, কর্মকর্তাদের এ দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারাণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের দাবি, কর্মকর্তারা যেভাবে শূন্য পেলেও তাদের সন্তানদের ভর্তি নেওয়ার দাবি করে আসছেন এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাদের এসব দাবি প্রচারের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কর্মকর্তাদের নিয়মিত কর্মবিরতিকে চরম ভোগান্তির কারণ দাবি করে এর প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসনের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তারা এ দাবি ছাড়াও পরিবহন, ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট সমস্যা নিরসনসহ ছয় দফা দাবি জানান।

জানা যায়, গুচ্ছের নীতিমালা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন। কোটার ক্ষেত্রেও এই শর্ত রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা পোষ্য কোটাধারীদের ক্ষেত্রে এই শর্ত পরিবর্তন করে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা বাতিলের দাবি করে আসছেন। এ ক্ষেত্রে পোষ্য কোটাধারীদের ক্ষেত্রে যে কোন নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর আবেদন নেওয়ার দাবি তাদের। এ দাবিতে গত ২৬ জুলাই থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। প্রথম দিকে দুই ঘন্টা কর্মবিরতি করলেও শনিবার পাঁচ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এছাড়া দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘নিয়ম হচ্ছে যারাই ৩০ পাবেন তারা সবাই আবেদন করতে পারবে। এখন কর্মকর্তাদের দাবি হচ্ছে তারা আলাদা কোন সুবিধা পাচ্ছে না। যেখানে একজন পরীক্ষার্থী ৫৪ পেয়েও কোন সাবজেক্ট পাওয়ার নিশ্চিয়তা নেই- সেখানে পোষ্যরা ৩০ পেলেই সাবজেক্ট পাচ্ছে। এর থেকে বড় সুবিধা কি আছে?’

তিনি আরো বলেন, ‘কর্মকর্তারা পোষ্যকোটার বিষয়ে যে দাবি করছে সেটা তারা করতেই পারে। কিন্তু আমরা তো সরকারের সিদ্ধান্তে বাধ্য। আমরা শুধু তাদের দাবি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কাছে তুলে ধরতে পারি।’