দীর্ঘ ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি শুরু নোম্যান্সল্যান্ডেই হচ্ছে লোড-আনলোড

দীর্ঘ ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি শুরু নোম্যান্সল্যান্ডেই হচ্ছে লোড-আনলোড

যশোর প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে এসব পণ্য বোঝাই ভারতীয় ট্রাক নোম্যান্সল্যান্ডে আসলে সেখান থেকে বাংলাদেশী ট্রাকে পণ্য আনলোড করে বাংলাদেশে আনা হয়। ভারতের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক নোম্যন্সল্যান্ডে আসলে সেখানে বেনাপোল বন্দরের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয় উভয় দেশের ট্রাকে। তবে কাজগপত্র লেনদেন ও লোড-আনলোডে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হয়নি। ঢাকার জে এস এগ্রো প্রাইভেট লিঃ আমদানিকারকের ১০ টন ভূট্টা বীজ ও সিরাজগঞ্জের উল্লা পাড়ার রতœা বীজ ভান্ডারের ২৫ টন মেস্তা বীজ আমদানি হয়।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ষ্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য ভারত সরকার লকডাউন ঘোষনা করায় দীর্ঘ ৪১ পর বৃহস্পতিবার বিকালে ২টি বীজের ট্রাক নোম্যান্সল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। নোম্যান্সল্যান্ড থেকে বাংলাদেশী সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধিরা বাংলাদেশী শ্রমিক দ্বারা লোড-আনলোড করে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসের এ জরুরী অবস্থা থাকাকালীন সময় নোম্যান্সল্যান্ডেই কাজ হবে।

বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বলেন, কাস্টম হাউসে বিকাল ৩টার দিকে জরুরী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। ৫/৬ জন কাস্টম কর্মকর্তা কাস্টম গেটের মধ্যে থাকবে তারাই সকলের কাজ করে দেবে। তাদের থাকা খাওয়ার সব দায়িত্ব কাস্টমসের। ১০ দিন পর তারা কাস্টম হাউস থেকে বাহিরে আসবে। কারণ কাস্টম হাউস ওপেন হয়ে গেলে করোনা ভাইরাসের একটা ঝুকি থেকে যায়।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত থেকে ২টি বীজের গাড়ি আমদানি হয়েছে। নোম্যান্সল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিবিধান মেনেই লোড-আনলোড করা হয়েছে। গাড়িগুলি জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়েছে। বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর বেনাপোল বন্দরে ২টি পণ্য বোঝাই ট্রাক আমদানি হয়েছে। নোম্যান্সল্যান্ডে লোড আনলোড হয়েছে। ৫/৬ জন কাস্টম কর্মকর্তা হাউসের মধ্যে থাকবে তারা বাহিরে যেতে পারবে না। আমরা ও এসোসিয়েশন তাদের সবকিছু বহণ করব, করোনা সংক্রমণ কমে গেলে তারা আবার বাড়ি চলে যাবে। রাজস্ব আদায় পূর্বক দ্রæত পণ্য খালাসের জন্য বলা হয়েছে।