কালুখালীতে নিখোঁজের ১২ দিন পর নারীর গলিত লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় নিখোঁজের ১২ দিন পর এক নারীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম জান্নাতুল নেছা (১৯) বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেম ব্যাপারীর মেয়ে।

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাহফুজ মণ্ডল (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বি-কয়া গ্রামের পান্নু মণ্ডলের ছেলে।

বুধবার (৯ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হলে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মাহফুজ মণ্ডল। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাত থেকে জান্নাতুল নিখোঁজ ছিলেন। ১২ দিন পর সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া এলাকার সিরাজ মণ্ডলের পাট খেতের ভেতর থেকে স্থানীয়রা একটি লাশের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, লাশের পাশে পড়ে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ, পায়ের স্যান্ডেল, পরিহিত জামা ও ওড়না দেখে পরিবার তাকে শনাক্ত করে। পরে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) তার (জান্নাতুল) মা নাজমা বেগম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে কালুখালী থানা পুলিশ এই ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে। পরে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) মাহফুজ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি ওই যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

কালুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা থানায় মামলা করলে আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মাহফুজ নামের ওই যুবককে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে বুধবার (৯ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।