কুমিল্লায় হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্কুলছাত্র রমজান আলীকে (৮) হত্যা করা হয়। খুনির একটি ফোনকলে উন্মোচিত হয় হত্যার রহস্য। এই মামলায় আজহারুল ইসলাম রিপন ও আইয়ুব আলী নামের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে কুমিল্লার আদালত। 

রবিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লা নগরীর বিষ্ণুপুর ভূইয়া বাড়ির মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক) এবং একই জেলার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসারের সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী। 

মামলার বিবরণে জানা যায়- জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের ১ জুলাই নারায়ণসার গ্রামের হাবিল মিয়ার মেয়ে রমজান আলী খেলাধুলা করতে ঘর থেকে বের হয়ে যান। বাড়িতে ফিরে না আসায় ২ জুলাই বুড়িচং থানায় জিডি এবং এলাকায় মাইকিং করা হয়। ৩ জুলাই মাইকিংয়ে সন্ধানকারীর মোবাইল ফোন নম্বরে অজ্ঞাত ব্যক্তি পরিচয়ে ফোন করে জানান রমজান আলীর লাশ নাজিরা বাজার এলাকার দিকে পাওয়া যাবে। পুলিশের তদন্তে বের হয়- ফোন করেছিলেন মূলত আসামি আজহারুল ইসলাম রিপন। আজহারুল ইসলাম রিপনের দেখানো মতে রমজান আলীর লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। এঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি আজহারুল ইসলাম রিপন ও আসামি আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপর দুই আসামি রনি ও মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করা হয়। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে শীঘ্রই বাস্তবায়ন করবেন। এর ফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. মফিজুল ইসলাম।