বঙ্গবন্ধুর দেশকে থামানো যায়নি: প্রধান বিচারপতি

বঙ্গবন্ধুর দেশকে থামানো যায়নি: প্রধান বিচারপতি

ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কিছু কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে খুন করে দেশকে পিছিয়ে দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেশকে থামানো যায়নি, এগিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মারকসৌধে স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দেওয়ার পর একথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন হওয়া উচিত। কমিশন করে তথ্য জানানো দরকার, যাতে মানুষ তাদের ঘৃণা করতে পারে।

এসময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল। যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি, দেশের সংবিধান মেনে নিয়ে। যদিও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহুদলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না। গণতন্ত্রকে যদি আমরা ধারণ করি, তাহলে আমাদের ভেতর যে দূরত্ব আছে সেটা কমে আসবে। 

তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছিলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু শহিদ হয়েছেন, আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারবো। আমার মতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বার বার আমাদের এই বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকব।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি।