খুমেক হাসপাতালে চতুর্থ দিনের মতো চলছে কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা

খুমেক হাসপাতালে চতুর্থ দিনের মতো চলছে কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা

সংগৃহীত

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এবং একই দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির চতুর্থ দিন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিপ্লব ফার্মেসির মালিক মাহমুদুর রহমান বিপ্লব (৩০) ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়েজিদ (২০)।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সচিব মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ওষুধ ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর রাতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর। অন্যদিকে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে খুলনা মেডিকেলের সামনে ওষুধের ৯০টি দোকান। দোকানীদের ওপর হামলাকারী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির খুলনা শাখা।

সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর জানান, হামলায় তাদের ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির খুলনা শাখার সমিতির সহসভাপতি এসএম কবীর উদ্দিন বাবলু জানান, হামলায় তাদের ১০ থেকে ১২ দোকান মালিক ও কর্মচারী আহত হয়েছিল।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিগগিরই হাসপাতালে মডেল ফার্মেসি চালু করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যান মেডিকেলের শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌস। এ সময় দোকানী এক পাতা ওষুধের দাম ৭০ টাকা জানালে হাসান ফেরদৌস ১০ শতাংশ কমিশন বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে জানালে অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দোকানে যায়। তখন বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওষুধের দোকানীদের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।