‘লকডাউন’ না তুলতে বিশ্বকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

‘লকডাউন’ না তুলতে বিশ্বকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

ছবিঃ সংগ্রহীত

পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে বাধ্য হয়ে করা হয়েছে লকডাউন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতি। করোনার পরিস্থিতি উন্নতি না হলেও লকডাউন তুলে নিতে মরিয়া দেশগুলো।

ইতোমধ্যেই বেশকিছু দেশ লকডাউন তুলে নিয়েছে। স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে যাচ্ছে দেশুগলো। বাংলাদেশেও গার্মেন্টস, কলকারখানা, দোকানপাট, শপিংমল, মসজিদ খুলে হয়েছে। যদিও করোনা ভাইরারেস পরিস্থিতি স্বাভাবিক তো দূরের কথা প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন।

লকডাউন তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে এমন তাড়াহুড়ো না করতে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও। আর লকডাউন তুললেও দেশগুলোকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে নতুন করে ভাইরাস না ছড়ায়।

সংস্থাটির সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বুধবার (৬ মে) দেয়া নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ সতর্কতার কথা বলা হয়।

ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, লকডাউন যদি তুলতেই হয়, তাহলে তা তুলুন অতি সাবধানে। নাহলে, একলাফে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা।

তিনি স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন যাতে বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। করোনা আক্রান্ত দেশগুলোকে করোনার সংক্রমণ রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও বিধিনিষেধ আরোপে আরো সতর্ক হতে হবে বলেও জানান সংস্থাটির প্রধান।

এছাড়া, লকডাউন তুলে নিলে বা শিথিল করলে ভাইরাস ফিরে আসার প্রবণতা রয়েছে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করা হয়।

এরই মধ্যে ইতালি, স্পেন ও জার্মানির লকডাউন  শিথিল করা হয়েছে। এমনকি আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রও লকডাউন শিথিল করায় ভবিষ্যতে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বিধিনিষেধের আওতায় থাকা দেশগুলিকে আগেই লকডাউন তোলার গাইডলাইন ধরিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। সেই গাইডলাইন মেনেই লকডাউন তোলার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। গাইডলাইনটিতে বলা ছিল, লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

১। সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
২। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাদের পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
৩। হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিতে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
৪। স্কুল, অফিসের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় করোনা প্রতিরোধ করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৫। কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত।
৬। নতুন স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সকলে সচেতন এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত।