শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওয়েবসাইট চালু

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওয়েবসাইট চালু

সংগৃহীত

ঢাকা এয়ারপোর্টের অফিসিয়াল নাম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই এয়ারপোর্টের আগে কোন নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ছিল না। তবে বর্তমানে এয়ারপোর্টের নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.hsia.gov.bd/

এই ওয়েবসাইট থেকে যেসকল তথ্য পাওয়া যাবে:

বিমানের উঠা-নামা নিয়ে বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে গাড়ি ভাড়া বা রেন্ট-এ-কার কোম্পনির বিস্তারিত।

পেসেঞ্জার গাইড বা আগমন-নির্গমন বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার মূল চালিকা হলো সিভিল এভিয়েশন অথারিটি বা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এই এয়ারপোর্টে নিরাপত্তার জন্য কাজ করে থাকে এভিয়েশন সিকিউরিটির (AVSEC) বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে বিভিন্ন বিমান কোম্পানির যোগাযোগের বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে মাদক চোরাচালান রোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় এবং বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং যোগাযোগের উপায়।

বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য আছে স্বাস্থ্য অফিস এ যোগাযোগের উপায়।

বিমানবন্দরে টয়লেট এবং কেনা-কাটার বিস্তারিত।

বিমানবন্দরে বয়স্ক বা অসুস্থ ব্যক্তিদের হুইল চেয়ার থেকে শুরু করে মিট অ্যান্ড গ্রিটের সুবিধা দেবার জন্য ৬টি কোম্পনি আছে। তাদের বিস্তারিত।

আন্তর্জাতিক আগমন এলাকায় দুইটি হেল্প ডেস্ক এবং বহির্গমন এলাকায় তিনটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। হেল্প ডেস্কগুলি যাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। সম্পূর্ণ ফ্রি কোন টাকা লাগবে না। ফ্রি ফোন করতে পারবেন।

বিমানবন্দর সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সহায়তা বিস্তারিত।

* সতর্কতা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বাটপার গ্রুপ ফেসবুকে পেজ চালু করেছে। বাংলা হিন্দি উর্দু এভিয়েশন নামে কোন ফেসবুক পেজ বা স্পেশাল লোগো দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। অনেক গ্রুপ বা পেজ নিজেদের এয়ারপোর্টে সিকিউরিটির সঙ্গে জড়িত বা নিজেরাই কর্তৃপক্ষ এ রকম পোস্ট দিয়ে নানাজনকে বিভ্রান্ত করছে। এরপর কৌশলে বিভিন্ন তৃতীয় পার্টির মাধ্যমে অনৈতিক লেনদেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকে।

বডি কন্টাক্ট/ ইমিগ্রেশন পার করে দেয়া ইত্যাদি বলেও টাকা আদায় করে। আপনি এদের ফাঁদে একবার পড়লে সহজে বের হতে পারবেন না। বিপদে পরলে বিমানবন্দরে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

প্রবাসীর টাকা, প্রবাসীর মানিব্যাগ, বাংলা প্রবাস অথবা প্রবাসীর... ইত্যাদি নামে বিভিন্ন বাটপার গ্রুপ বা পেজ আছে ফেসবুকে। মূলত রেন্ট-এ-কার বা গাড়ি ভাড়া দেয়া এদের বাটপারি ব্যবসা। রাস্তায় ছিনতাই বা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানাবিধ খারাপ কাজের সাথে এরা জড়িত।

বিমানবন্দরে স্যুটকেসের সংখ্যা বা ওজন বেশি, ইমিগ্রেশন ভিসা জটিলতা, রিটার্ন টিকিট সমস্যা ইত্যাদিতে কেউ কেউ অনৈতিক ঘুস চাইতেই পারে। এ রকম কিছু হলে টাকা দিবেন না বরং প্রতিবাদ করুন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বড় অফিসারের সাহায্য নিন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে- ওয়েবসাইটে তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। ভুল পেলে সেটি আপডেট করে সঠিক তথ্য দেবার চেষ্টা কো হবে।