চুমু কাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন স্পেন ফুটবল প্রধান

চুমু কাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন স্পেন ফুটবল প্রধান

ছবিঃ সংগৃহীত।

মেয়েদের বিশ্বকাপে স্পেনের প্রথম শিরোপা জেতার আনন্দে এক ফুটবলারের ঠোটে চুমু দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত রুবিয়ালেস ক্ষমা চেয়েছেন।

ফেডারেশনের পাঠানো একটি ভিডিও বিবৃতিতে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভুল ছিলাম। আমাকে স্বীকার করতে হবে। এমনটি করার সময় খারাপ মানসিকতা ছিল না। এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। কারণ এটা আমাদের মেয়েদের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য। ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আমরা জিতেছি। এটি উদযাপনকে প্রভাবিত করেছে।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা যখন দলের অন্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, তখনই ঘটে সেই কাণ্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফরোয়ার্ড জেনিফার হারমোসোকে জড়িয়ে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ঠোটে চুমু দিয়েছেন সভাপতি।

হারমোসোর সতীর্থ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে নিন্দার ঝড় তোলেন। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক যৌন অসদাচরণের অভিযোগ দেখা যাচ্ছে।

এদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন দলকে বহনকারী বিমান মাদ্রিদে অবতরণের পর রুবিয়ালেস আলোচিত ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি উপভোগ এবং উদযাপন করার সময়। আমরা একটি বিশ্বকাপ জিতেছি।’

তবে চুম্বন কাণ্ড নিয়ে হারমোসো লকার রুমে সতীর্থদের বলেছিলেন যে তিনি বিষয়টি পছন্দ করেননি। ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, এল মুন্ডো সংবাদপত্র এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের আউটলেটগুলোর পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে তার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসে।

পরে ফেডারেশনের স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা ইএফই-তে পাঠানো এক বিবৃতিতে হারমোসো বলেছিলেন, ‘আমি এটি উপভোগ করিনি। তবে এটি ছিল স্নেহ প্রদর্শনের জন্য স্বাভাবিক আলিঙ্গন। বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটি অর্জনের আনন্দ থেকেই এমনটা হয়েছে।’

রুবিয়ালেসের অসংযত আচরণের ঘটনায় বিশ্ব খেলোয়াড়দের ইউনিয়ন ফিফপ্রো গণমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে চুম্বন কাণ্ডকে গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে। স্প্যানিশ কর্মকর্তারাও তীব্র নিন্দা জানান।

স্পেনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মিকেল আইসেটা পাবলিক বলেছেন, একজন খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানাতে ঠোঁটে চুম্বন করা অগ্রহণযোগ্য। দেশটির সরকারের সমতা মন্ত্রী আইরিন মন্টেরো এই ঘটনাটিকে যৌন সহিংসতার একটি রূপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।