চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় ভারতের চন্দ্রযান-৩

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় ভারতের চন্দ্রযান-৩

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় ভারতের চন্দ্রযান-৩

আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টার পরে (১২৩০ জিএমটি) চাঁদের দক্ষিণ মেরুর প্রায় অজানা একটি এলাকায় চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করার কথা রয়েছে।

একই অঞ্চলে একটি রাশিয়ান একটি প্রোব বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েকদিন পর ভারতের চন্দ্রযানটি চাঁদে অবতরণ করতে যাচ্ছে। এরফলে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই এলাকায় মহাকাশযান অবতরণকারী প্রথম দেশ হওয়ার আশা করছে।
সর্বশেষ চাঁদে অবতরণ প্রচেষ্টায় বিশ্বের জনবহুল দেশটির জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এই সাফল্য দেশটিতে মহাকাশ গবেষণায় অগ্রসর বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যাবে।বুধবার ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনাম ছিলো ‘ইন্ডিয়া রিচেস ফর দ্য মুন’। দেশটির পত্রিকায় চন্দ্র মিশন প্রাধান্য পেয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ‘এটি মুন মিশনের জন্য ডি-ডে’।

২০১৯ সালে ভারতের পূর্ববর্তী চন্দ্রমিশন ব্যর্থ হয়েছিল এবং প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রথম চাঁদ মিশনে একই অঞ্চলে অবতরণের জন্য নির্ধারিত প্রোবটি বিধ্বস্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরে ভারতের এই সর্বশেষ প্রচেষ্টা সফল হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে প্রাক্তন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা প্রধান কে. সিভান বলেছেন, ল্যান্ডারের ক্যামেরায় তোলা সাম্প্রতিক পাঠানো ছবিগুলো প্রতিটি ইঙ্গিত দেয় যে, এই অভিযানের চূড়ান্ত পর্বটি সফল হবে।সোমবার এএফপি’কে তিনি বলেন, ‘এটি কিছুটা উৎসাহ দিচ্ছে যে আমরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ল্যান্ডিং মিশনটি সফল করতে পারব।’

সিভান বলেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চার বছর আগের ব্যর্থতার পরে চন্দ্রযানের ত্রুটির সংশোধন করেছে। পুর্ববর্তী চন্দ্রযান তার নির্ধারিত অবতরণের মুহুর্তে মডিউলের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলো।তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ মসৃণ হবে।’ভারতের একটি তুলনামূলকভাবে কম বাজেটের মহাকাশ কর্মসূচীর অধীনে ২০০৮ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রথম একটি প্রোব পাঠানোর পর থেকে এটি আকার এবং গতিতে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।সর্বশেষ মিশনটিতে ব্যয় হয়েছে ৭৪.৬ মিলিয়ন ডলার, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

সূত্র : বাসস