শোক দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শোক দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শোক দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের পৃষ্ঠপোষকতায় এর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শোকদিবস উদ্যাপন কমিটি ২০২৩ এর আহবায়ক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব (উপ-সচিব) মোঃ রায়হান কাওছার। সভা সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুন বিথি।

জাতীয় সংগীত ও ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে সভার সূচনা করা হয়। আলোচনা সভার পূর্বে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের উপর নির্মিত ২৭ মিনিটের একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের শিল্পীরা।

আলোচনাসভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ১৮ জনকে যে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সেদিন আমরা কেউ বিদ্রোহী হয়ে উঠেনি। এর থেকে বোঝাযায় আমরা কতটা বেঈমান জাতি। যারা সেদিন প্রতিবাদ করেননি তাদের ক্ষমা চেয়ে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে, যা আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের ভিত্তির সবকিছুই করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার বাস্তবায়ন করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট পরবর্তী দীর্ঘ অন্ধকার সময় অতিক্রম করেছে এদেশের জনগণ। আজ সেই অন্ধকার থেকে দেশকে আলোর পথে নিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আলোর সেই পথযাত্রায় আমাদেরকে শরিক হতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য।