বিমানের ধ্বংসাবশেষে মিলল ১০টি দেহ, রয়েছে কি প্রিগোজিনের লাশ?

বিমানের ধ্বংসাবশেষে মিলল ১০টি দেহ, রয়েছে কি প্রিগোজিনের লাশ?

বিমানের ধ্বংসাবশেষে মিলল ১০টি দেহ, রয়েছে কি প্রিগোজিনের লাশ?

তীব্র হচ্ছে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর গুঞ্জন। ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত দশজনের লাশ। তার মধ্যে প্রিগোজিনের লাশ রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

গত বুধবার থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাশিয়ার কুখ্যাত ভাড়াটে সেনা ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিনের। রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী এক বেসরকারি সংস্থার এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমান তেভর এলাকার কুজেনকিনো গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে পাইলট, ক্রু, যাত্রী-সহ মোট ১০ জন ছিলেন। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। আর মৃতদের তালিকায় প্রিগোজিনও রয়েছেন বলেই গুঞ্জন।

নানা বিতর্কের মাঝে শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি লাশ। এদিন, রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, ‘বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফ্লাইট রেকর্ডারসও উদ্ধার হয়েছে।’ কিন্তু নিহতদের মধ্যে আদৌ প্রিগোজিন রয়েছেন কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যুর জল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়, তাকে নাকি হত্যা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের তির রয়েছে পুতিনের দিকেই। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নিরবতা ভাগেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ওয়াগনার প্রধানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পুতিন। ১৯৯০ সাল থেকে প্রিগোজিনের সাথে তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত যে- সময়সাপেক্ষ সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখ খোলার আগে পর্যন্ত মস্কো কিংবা কোনো তদন্তকারী সংস্থা তার মৃত্যুর বিষয়ে সিলমোহর দেয়নি। ফলে পুতিনের এই বক্তব্যের পর আরো জোরাল হয় প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। পরে অবশ্য জানা যায়, লড়াই থামিয়ে বেলারুশে ঘাঁটি গেড়েছেন ওয়াগনার প্রধান।

শোনা গিয়েছিল, পুতিনের সাথে নাকি বুঝাপড়াও হয়েছে তার। কিন্তু প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকে দাবি করেন নিজের পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলেছেন পুতিন। গতকাল, সিআইএ-র সাবেক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যানও দাবি করেন, পুতিনের নির্দেশে খুন করা হয়েছে প্রিগোজিনকে!
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন