ক্রিপটোকারেন্সি কিনতে প্রশ্ন ফাঁসের নাটক, গ্রেফতার ৫

ক্রিপটোকারেন্সি কিনতে প্রশ্ন ফাঁসের নাটক, গ্রেফতার ৫

প্রতীকী ছবি।

অনলাইনে জুয়া খেলতে প্রথমে প্রশ্ন ফাঁসের নাটক। অতঃপর ফেসবুকে বিজ্ঞাপন। এ দিয়েই বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র। তবে অবশেষে তাদের গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল আহাদ ওরফে রাফিন খান, স্বাগতম চন্দ্র ওরফে বাবুল মিয়া, সাব্বির আহমেদ, মইনুদ্দিন ও বাসুদেব চন্দ্র রায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। 

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একটি অনলাইন জুয়াড়ি চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা মূলত অনলাইন জুয়াড়ি। 

বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে জুয়া খেলতে হলে ক্রিপটোকারেন্সি দরকার। প্রতারকরা ক্রিপটোকারেন্সি কেনার জন্যই মূলত প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেয়। এতে অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হন। 

ডিবি জানায়, গ্রেফতারব্যক্তিরা প্রথমে ফেসবুকে প্রশ্নপত্রের বিজ্ঞাপন দেয়। পরে ভুয়া প্রশ্নপত্র আপলোড করে। প্রশ্ন পেতে হলে প্রথমে ৭০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয়। পরে পরীক্ষার রাতে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন পাওয়ার জন্য দিতে হয় আরও ৫০০ টাকা। 

অথচ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন বা পরীক্ষার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুরোটাই ভুয়া এবং প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কর অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা। 

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার স্বাগতম চন্দ্র ওরফে বাবুল মিয়া ও সাব্বির আহমেদ পেশায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। অপকর্ম আড়াল করতে তারা একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করতেন। 

এছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন নামের এক ডজন পেজ আছে তাদের। অপর আসামি আব্দুল আহাদ সরকারি বাংলা কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। এছাড়া মইনুদ্দিন, বাসুদেব চন্দ্র রায় অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল।