কুষ্টিয়ায় চার লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ

কুষ্টিয়ায় চার লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ

ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চার লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়ি, বিপুল পরিমান বিড়ির ঠোস, লেবেল পেপার, ফিল্টার পেপার, সিগারেট পেপার, জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়া কাষ্টমস সার্কেল-২ ভেড়ামারার কাষ্টমস সুপার একেএম খালেকুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।  

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র ও কিছু ডিলা‌র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত অবৈধ কমদামী বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। এই উৎপাদিত অবৈধ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি ও মজুদ করছে চক্রটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া কাষ্টমস সার্কেল-২ ভেড়ামারার কাষ্টমস সুপার একেএম খালেকুজ্জামানের নের্তৃত্বে একটি চৌকস টিম দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুরের শাহাপাড়ায় রবি ও হেদায়েত এর বাড়ীতে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় তাদের বাড়ি থেকে চার লক্ষ (৪,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমান বিড়ির ঠোস, লেবেল পেপার, ফিল্টার পেপার, সিগারেট পেপার, জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। অভিযানকালে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। স্থানীয়রা জানান, দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমান নকল বিড়ি উৎপাদন হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। নকলের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এবং পুলিশের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল। একইসাথে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তারা।

অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি ও বিড়ি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কাষ্টমস অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

কাষ্টমস সুপার একেএম খালেকুজ্জামান জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমান বিড়ির ঠোস, জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরবর্তীতে মামলাসহ নকল বিড়ি বন্ধের ব্যাপারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলে জানান ওই কাস্টমস কর্মকর্তা।