যশোরে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা

যশোরে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা

যশোর প্রতিনিধি

স্বল্পখরচে লাভ বেশী হওয়ায় যশোরের কৃষকরা সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ কারণে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবছর জেলার  ১০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান,বাংলাদেশে আগে সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল নিষ্কাষনের কোন ব্যবস্থা ছিলো না কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে  সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল সংগ্রহের পদ্ধতি চলে এসেছে ফলে কৃষকরা এটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  সূর্যমুখীর তেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ভোজ্য তেল এবং এখানে ক্ষতিকারক কোলেষ্টরেল এর পরিমান খুবই কম। উপরন্ত এতে ভিটামিন এ,ডি ও ই রয়েছে। যেটি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

সূর্যমুখী চাষের ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যেই ফলন ঘরে তোলা সম্ভব। প্রতিবিঘায় ১১ থেকে ১২ মন সূর্যমূখী বীজ উৎপাদিত হয় যার বর্তমান বাজার দর প্রতিমণ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা । এছাড়া সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বীজ ছাড়ানোর পর ফুলের মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গাছের অন্যান্য অংশগুলি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে সূর্যমুখী ফুল  চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।