ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদালিয়া’

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদালিয়া’

ফাইল ছবি

ধেয়ে আসছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ইদালিয়া। এই মুহূর্তে মেক্সিকো উপসাগরে কিউবার পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং ক্রমেই উত্তরের দিকে এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি।

মঙ্গলবার বা বুধবার এটি শক্তিশালী হারিকেন হিসেবে ফ্লোরিডার টম্পা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সময় এই অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ফ্লোরিডা রাজ্যের ৬৭ কাউন্টির মধ্যে ৪৭টি কাউন্টিতেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে 'হারিকেন' বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হারিকেন আঘাত করে।

ঘূর্ণিঝড়টি গত রোববার ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্টি হয়। এ সময় এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার। এদিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ফ্লোরিডা পৌঁছানোর আগে এটি ক্যাটাগরি-৩-এর শক্তিশালী হারিকেনে রূপ নেবে।
 
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, ইদালিয়া ধারণার চেয়ে দ্রুত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ইদালিয়ার প্রভাবে এরই মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকোতে তীব্র বাতাস ও বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার।

এনএইচসি আরও বলছে, ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূল দিয়ে ইদালিয়া শক্তিশালী হারিকেনের মতো বয়ে যাবে। এর প্রভাবে প্রাণহানিরও আশংকা রয়েছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এ ব্যাপারে অধিবাসীদের সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ঝড় আঘাত হানলে উপকূল এলাকা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে।
 
সেইসঙ্গে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের এক হাজার ১০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জরুরি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দুর্গত এলাকার বাসিন্দা সেবা দেবেন তারা।
 
গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'হিলারি'। এতে ক্যালিফোর্নিয়ার পর্বত ও মরুভূমিগুলোতেও ৫ থেকে ১০ ইঞ্চির মতো বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়াবিদরা জানান, এসব মরুভূমিতে সারা বছরেও এতো বৃষ্টিপাত হয় না।
 
এটি প্রথমে গত ২০ আগস্ট মেক্সিকোর বাহা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপে আঘাত হানে। এতে বৃষ্টিপাত ও বন্যার ঘটনায় মেক্সিকোতে একজনের মৃত্যু হয়। পরদিন ২১ আগস্ট এটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানে। এর ফলে লস অ্যাঞ্জেলসের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে ভারি বৃষ্টিপাত ও নজিরবিহীন বন্যার সৃষ্টি হয়।