ফরিদপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ২ আসামি আটক

ফরিদপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ২ আসামি আটক

সংগৃহিত ছবি।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোস হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মনিরুজ্জামান শেখ ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছত্তার মোল্লাকে দীর্ঘ ১১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর কোম্পানী অধিনায়ক লে: কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনিরুজ্জামান শেখকে (৪৩) এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছত্তার মোল্লাকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মনিরুজ্জামান জেলার সালথা উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের সামচু শেখের ছেলে ও ছত্তার মোল্লা একই উপজেলার খাগৈর গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে।

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মলয় বোস এর সাথে মনির ও ছত্তার সহ তাদের দলের বেশ কয়েকজনের বিবাধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে মনির ও ছত্তার সহ তাদের দলের আরো ২০-২৫ মিলে মলয় বোসকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মলয় বোস নিজস্ব মোটরসাইকেলযোগে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রনকাইল নামক স্থানে মনির ও ছত্তার সহ তাদের দলের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মলয় বোসকে এলোপাতারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোস এর স্ত্রী ববিতা বোস বাদি হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার ৯ জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।

র‌্যাব-১০ এর কোম্পানী অধিনায়ক লে: কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান, গ্রেফতারকৃত মনির ও ছত্তার হত্যাকান্ডের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করেছিল। আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ১১ বছর পর আসামী মনিরুজ্জামান ও ছত্তার মোল্লাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।