চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে

চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে

ফাইল ছবি।

ভারতের চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এ তথ্য জানিয়েছে।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান স্লিপিং মুড থেকে জেগে উঠতে পারে বলে আশা করছে ইসরো। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করে ভারত।

এর আগে ইসরো জানিয়েছিল, কাজ শেষেও ‘বাড়ি’ ফেরা হবে না চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞানের’। চাঁদে সূর্যাস্ত হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে তারা। নিস্তেজ হয়ে পড়বে ভেতরে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতিও।

বিক্রম ও প্রজ্ঞানের যে সমস্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে, যেগুলোর সাহায্যে চাঁদে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ও সংগ্রহ করেছে তথ্য, সেই সব যন্ত্র চলেছে সৌরশক্তিতে। ফলে চাঁদে যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে ততক্ষণই প্রাণ থাকবে তাদের।

বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির মতে, ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি। তবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৪ দিনের ‘সকাল’ কাটানোর পর নেমে আসা ১৪ দিনের সমান রাতটি হবে অতিশীতল। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির একটি কণাও প্রবেশ করবে না চাঁদের দক্ষিণমেরুতে। তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

চাঁদের একেকটি দিন পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিনের সমান আর একেকটি রাত ১৪ রাতের সমান। চাঁদে রাত শেষে ভোর হলে বিক্রম আর প্রজ্ঞানের নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলে উড়িয়ে দেয়নি ইসরো।