প্রকাশ্যে এলেন রুশ শীর্ষ জেনারেল সুরোভিকিন

প্রকাশ্যে এলেন রুশ শীর্ষ জেনারেল সুরোভিকিন

সংগৃহীত

ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিদ্রোহ করার পর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। কিন্তু আড়াল ভঙ্গ করে আবার তাকে জনসম্মুখে দেখা গেছে। তিনি রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। 

সের্গেই সুরোভিকিন ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। গত মাসে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রিগোজিন। 

বিদ্রোহে জড়িত থাকার জন্য জেনারেল সুরোভিকিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার সাবেক কমান্ডারের একটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

 রাশিয়ার প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কেসেনিয়া সোবচাক সোমবার টেলিগ্রামে এই ছবিটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ছবিটি আজ তোলা হয়েছে। জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বাইরে বের হয়েছেন। তিনি জীবিত, সুস্থ, বাড়িতে, পরিবারের সঙ্গে মস্কোতে আছেন।’

জুনের ২৩ তারিখে প্রিগোজিন পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। ওই বিদ্রোহে সের্গেই সুরোভিকিন প্রিগোজিনকে সমর্থন দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

প্রিগোজিন দুর্ঘটনায় নিহতের আগের দিন পর্যন্ত সুরোভিকিন ছিলেন রাশিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান। কিন্তু ২২ আগস্ট তাকে বিমান বাহিনীর প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন প্রিগোজিন সহযোগীসহ মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে ফেরার সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।

পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনার পেছনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে। কারণ প্রিগোজিনের বিদ্রোহের সময় পুতিন বলেছিলেন, ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।’ তিনি এটার উপযুক্ত শাস্তির  অঙ্গীকারও করেছিলেন।

যদিও প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনার পেছনে পুতিন আছেন এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তবে ক্রেমলিন বলেছে,‘প্রিগোজিনের বিমানে পরিকল্পিতভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে; এটা মাথায় রেখেই তারা তদন্ত করছেন।’

সূত্র: বিবিসি