সুনামগঞ্জের ছাতকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

সুনামগঞ্জের ছাতকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

সুনামগঞ্জের ছাতকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

পরিবেশ সুরক্ষা আইনের অধীন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণের কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে র্বজ্য অপসারণে গৃহীত পদক্ষপে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।জনস্বার্থে আনা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ব্লাস্টের পক্ষ থেকে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানানো হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো.নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।গত ১৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘ছাতক: ময়লার দুর্গন্ধে পথচারীরা অতিষ্ঠ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব করম আলী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।ব্লাস্টের পক্ষ থেকে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানানো হয়।  মঙ্গলবার এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও  ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের রেলগেট, সুহিতপুর ও নুতনবাজার এবং ছাতক পৌরসোভা ও জাউয়া বাজারের প্রবেশ পথে বর্জ্য পদার্থের স্তুপ রয়েছে, যা মানুষের জন্য বিশেষত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্যক্ষতিকর এবং এ পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত চরম সমস্যা ও নৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে সুনামগঞ্জের এসব স্থানে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আইন ১৯৯৫ এর অধীনে বাংলাদেশ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বিবাদীদের বিধি বদ্ধ দায়িত্ব পালনে ক্রমাগত ব্যর্থতায় সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ছাতকের নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ছাতক,  গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও  চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

সূত্র : বাসস