মুক্তি পেলেন গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো

মুক্তি পেলেন গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো

সংগৃহিত ছবি।

গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো ওনডিম্বাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহের মাথায় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর আল জাজিরার।

সম্প্রতি গ্যাবনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েকদিন পর গত ৩০ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ ঘোষণার পরপরই সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। প্রেসিডেন্ট বঙ্গোকে তার বাসভবনে অবরুদ্ধ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গ্যাবনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল উলরিখ মানফুম্বি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো এখন মুক্তি। তিনি চাইলে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও ভ্রমণ করতে পারেন।’

 

আলী বঙ্গোর মুক্তি বিষয়ক ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জান্তা প্রধান ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া জেনারেল ব্রাইস ক্লোটেয়ার ওলিগুই এনগুয়েমা। আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, আলী বঙ্গো পাঁচ বছর আগে স্ট্রোক করেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর তিনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না।

আলী বঙ্গোকে মুক্তি দেয়া হলেও তার স্ত্রীকে ও ছেলেকে আটক রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো কঠোর অভিযোগ আনা হয়েছে। সেনা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলী বঙ্গোর স্ত্রী ও তার ছেলেকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ চুরির অভিযোগ রয়েছে।

 

বাবার ওমর বঙ্গোর গ্যাবনে গত ২৬ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ব্যাপক কারচুপি হওয়া ওই নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। তবে নির্বাচনে অনিয়ম হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এর মধ্যদিয়ে বঙ্গো পরিবারের ৫৫ বছরের ক্ষমতার অবসান হয়।

আলী বঙ্গোর বাবা ওমর বঙ্গো আফ্রিকার সবচেয়ে দীর্ঘকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। ২০০৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ৪২ বছর ধরে একহাতে গ্যাবন শাসন করেন। এরপর ক্ষমতায় আসেন আলী বঙ্গো। গত সপ্তাহে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১৪ বছর দেশ শাসন করেন তিনি।

আলী বঙ্গোকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছেন গ্যাবনের সাধারণ মানুষ। অভ্যুত্থানের পরপরই রাজধানী লিব্রেভিলের রাস্তায় ও অন্যান্য জায়গায় তাদেরকে রীতিমতো উদযাপন করতে দেখা গেছে। তবে আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন এর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাবনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে।