চবিতে মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবনে বিক্ষোভ-ভাঙচুর

চবিতে মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবনে বিক্ষোভ-ভাঙচুর

সংগৃহিত ছবি।

শহর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে শাটল ট্রেনে গাছের ধাক্কায় ছাদে থাকা অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌধুরীহাট এলাকায় কাত হওয়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে চবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। শাটল ট্রেনের নতুন বগির দাবি জানায় তারা।

লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান বলেছেন, শাটল ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল কিছুটা কাত হয়। বৃহস্পতিবার বিকালেও ছাদে থাকা তিন শিক্ষার্থী আহত হন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক গণমাধ্যামকে বলেছেন,ট্রেনের ছাদে থাকা বেশ কজন শিক্ষার্থী গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়। আহত ১৬ শিক্ষার্থীকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ৮ জন এবং নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ৮ জন ভর্তি করানো হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে রাতে শার্টল ট্রেনের ছাদে করে চবি ক্যাম্পাসে আসার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ১৫-২০ জনের মতো আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে বগি সংকট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও মিলছে না কোন সুফল। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।