স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুবি

স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুবি

সংগৃহীত

সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এ কার্ড সিস্টেম চালু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিলক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বাস্তবায়নে সব পর্যায় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে সবদিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

জানা গেছে, এই স্মার্ট কার্ডে শিক্ষার্থীদের নাম, নিবন্ধন নম্বর, আইডি কোড, ছবি, ডিসিপ্লিন, হল কোড, বর্ষ ব্যক্তিগত সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সব তথ্য থাকবে এই স্মার্ট কার্ডে। এটি ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে লাইব্রেরিতে চেক ইন-চেক আউট, সেলফ বুক ইস্যু, সেলফ বুক রিটার্ন, অটো গেট পাশ, বুক হোল্ডিংয়ের মতো সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মেডিকেল সুবিধা, জিমনেশিয়াম, আবাসিক হল, ইন্টারনেট সার্ভিসসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা এর আওতায় আসবে। ইতোমধ্যে কার্ড তৈরির জন্য সব ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল ও দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, ডি-নথির বাস্তবায়ন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপস্ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউসের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাস রুম, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. সারওয়ার জাহান বলেন, এই স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।