বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর রিসার্চ সেমিনার-২৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে সেমিনারে “Value Relevance of Key Accounting Information in Predicting Market Performance: A Machine Learning Approach” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএম এর প্রভাষক জনাব ইমরান মাহমুদ।

ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহীনা সুলতানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এর সহযোগী অধ্যাপক ড. অদিতি শামস। বিআইসিএম এর রিসার্চ ফেলো (খন্ডকালীন) অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে একাউন্টিং ইনফরমেশন শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে তা আলোচ্য গবেষণায় উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টে যতগুলো একাউন্টিং ইনফরমেশন রয়েছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) এবং শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো এর অগ্রাধিকার রয়েছে। এক্ষেত্রে আরো দেখা যায় যে, এনএভি ও শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো এর অবদান খুব নগন্য। সাধারণত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টের প্রধান সূচকগুলোকে সমানভাবে আলোকপাত না করে মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে তুলনামূলক সহজে শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ড. শাহীনা সুলতানা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ এবং অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশনের ব্যবহার এই তিনটি বিষয় একীভূতকরণ নতুন একটি উদ্যোগ। তিনি এই উদ্যোগকে সফল বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গবেষণা কর্মটি আরো সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে উল্লেখ করে ড. অদিতি শামস বলেন, একাডেমিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব কি হতে পারে, তা আলোচ্য গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, অ্যাকাউন্টিংয়ের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগ একটি কঠিন বিষয়। বিষয়টি অত্র গবেষণায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার নির্বাচনও সহজতর হবে।

রিসার্চ সেমিনারে বিআইসিএম এর অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। ইন্সটিটিউটের প্রভাষক জনাব ইমরান মাহমুদ ও জনাব ফাইমা আক্তার এবং নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর প্রভাষক জনাব মোস্তাফিজ আহমেদ যৌথভাবে এই গবেষণাটি সম্পাদন করেন।