বিমানে উঠে পড়া সেই শিশুর বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে

বিমানে উঠে পড়া সেই শিশুর বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে

ছবিঃ সংগৃহীত।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশু জোনায়েদ মোল্লা (১০) কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে উঠে যায়। বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়ার আগমুহূর্তে জানা যায়, সে ওই ফ্লাইটের যাত্রী নয়। সেই জোনায়েদের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (কেইউ-২৮৪) পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাশ ছাড়াই বিমানে উঠে পড়ে সে। পরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়।

কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে উঠে পড়া শিশু জোনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বরইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাড়িতে ব্যাপক লোকজনের সমাগম হচ্ছে। 

বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান, শিশুটি থানা হেফাজতে ছিল। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তার অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।  

শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লা জানান, তার ভাতিজা জোনায়েদ মোল্লা খুবই দুরন্ত। তাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে সে বারবার পালিয়ে আসে বলে তাকে মাদ্রাসা থেকে এনে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। তবুও সে বাড়ি থেকে মাঝে-মধ্যেই হারিয়ে যায় আবার একাই ফিরে আসে। গত এক সপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা তার খোঁজ পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে সেখান থেকেও পালিয়ে গেছে। বিমানে উঠে পড়ার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে সে আমাদের বাড়িতেই আছে।  

শিশু জোনয়েদ মোল্লা জানায়, সে বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়ে। সে কোনো কিছু না ভেবে শখের বসে বিমানে উঠে। সে জানেই না যে বিমানে উঠতে বোর্ডিং পাশ, পাসপোর্ট এবং ভিসা লাগে। সে ভুল করে বিমানে উঠে পড়েছে বলে জানায়। 

মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের থানায় ফোন করা হলে আমরা তার পরিবারের খোঁজ করে তার পরিবারকে সংবাদ দেই। সংবাদ দেওয়ার পরে তারা তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে আসে। বর্তমানে শিশুটি তার বাড়িতেই আছে।