‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা’

‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা’

ছবিঃ সংগৃহীত।

‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা’ লিখে পদ্মা নদীতে ডুবে মিনু বেগম (৫৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে আগত ডুবরির দল পদ্মায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করেও তার লাশ খুঁজে পায়নি।

মিনু পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার মধ্য বাঘরা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের প্রয়োজনে একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার সময় পদ্মার পাড়ে মিনুকে তারা একা বসে থাকতে দেখেন। অল্প কিছুক্ষণ পর তাকে দেখতে না পেয়ে পদ্মার তীরে এগিয়ে আসেন অনেকেই। পরে নদীর তীরে নারীর গায়ে পরা বোরখা, মোবাইল ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখেন। চিরকুটে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা।

পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া না গেলে এক সময় মিনুর মোবাইলে ফোন আসে তার স্বজনদের। কিছুক্ষণ পর মৃতের স্বজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ডুবরি দল দীর্ঘক্ষণ পদ্মা নদীতে চেষ্টা চালিয়েও মিনুর মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। 

মিনুর স্বজনরা জানান, মিনুর দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। ছেলেরা গত দুই মাস ধরে কোনো টাকা পাঠায়নি। ফলে মিনু এনজিওর কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে সময় মতো এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনজিও কর্মীদের প্রচণ্ড চাপ ও অশালীন আচরণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি।

এ বিষয়ে দোহারে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম (সুমন) বলেন, ঢাকা থেকে আগত ডুবরি দল মিনুর মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করেন কিন্তু তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে একই দিন বেলা ৩টার সময় দোহার উপজেলার নাগেরকান্দা এলাকার পদ্মার শাখা নদীতে স্থানীয় শেখ নোয়াব আলীর মেয়ে রুবি আক্তার (৩৮) গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান। পরে তার মৃতদেহ ডুবুরি দল নদীর তীরবর্তী একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করেন।