সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে ‍মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে ‍মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্র

ছবিঃ সংগৃহীত।

জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ আইন পাস হওয়ার একদিন পর বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া একই দিন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড ঘটনার পর বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সংসদে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) পাসের বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। আমরা মনে করি এটা দুঃখজনক, নতুন আইনটির আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার অংশীজনদের এটি পর্যালোচনা এবং তাদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করার পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়- দুর্ভাগ্যবশত, সাইবার নিরাপত্তা আইন অনেক দিক দিয়েই এর আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো। এই আইনেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারা বহাল রাখা হয়েছে এবং সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও কণ্ঠরোধ করতে খুব সহজেই এর অপব্যবহার হতে পারে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মানুষের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। আমাদের ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে ‘অনলাইন এবং অফলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা’ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘বিশেষ সরকারি বিধিনিষেধের সাথে পরিচালিত’ হওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ অবস্থায় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অধিকার কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।