মেসির বিশ্বকাপ উদযাপনের আদলে তৈরি হচ্ছে পূজার মঞ্চ

মেসির বিশ্বকাপ উদযাপনের আদলে তৈরি হচ্ছে পূজার মঞ্চ

সংগৃহীত

কলকাতার পূজা মানেই নতুন কোনো চমক। নতুন নতুন ভাবনায় সেজে ওঠে মণ্ডপগুলো। অনন্য শিল্পের সাক্ষী থাকেন পূজাপ্রেমীরা। এবার বাঙালির আনন্দঘন এ উৎসবে সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে চলেছে লিওনেল মেসির বিশ্বজয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোষাক ‘বিশত’ গায়ে জড়িয়ে শিরোপা উদযাপনে মেতেছিলেন মেসি। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবার পূজা মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চলেছে নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সার্বজনীনের পূজা কমিটি।

ক্রীড়া প্রচারক সতদ্রু দত্তের মাথাতেই প্রথম এ ভাবনা আসে। এরপর সাউদার্ন সমিতির সচিব তথা পূজা শিল্পী বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ঠিক করা হয় যে, বাংলার উৎসবের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ৩৫ ফুট উচ্চতার ‘লুসাইল স্টেডিয়াম’ তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। ঠিক তার ওপর থেকে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার মেসিকে ফুটিয়ে তোলা হবে। 

সেখানে মেসির হাতে থাকবে বিশ্বকাপ। তবে কাতারের বিখ্যাত লুসাইল স্টেডিয়ামটি বাইরে থেকে দর্শন করেই যে চলে যেতে হবে, এমনটা নয়। সেই ফুটবল স্টেডিয়ামে দর্শকদের উন্মাদনা থেকে মেসির বিশ্বজয়ের মুহূর্ত পরতে পরতে অনুভবও করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

সেখানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মধ্যে দিয়ে একেবারে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরিবেশ ফুটে উঠবে। আর সেইসঙ্গেই হবে প্রতিমা দর্শন। এমনকি স্টেডিয়ামে থাকবে চেয়ারও। যেখানে বসেও প্রতিমা দর্শনের সুযোগ মিলবে। বাঙালির ফুটবলপ্রীতি ও দুর্গাপূজার আমেজ নিঃসন্দেহে উৎসবের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।

৬৪ বছরে পা দেওয়া এই পূজা অবশ্য এর আগেও নিজেদের থিম ভাবনায় খেলার দুনিয়াকে তুলে ধরেছে। ইলিশ-চিংড়ির লড়াই থেকে কলকাতার তিন প্রধানের ঐতিহ্য ধরা পড়েছে এই পূজার সৃজনে। আর এবার নরেন্দ্রপুর সাক্ষী থাকবে এক টুকরো কাতারের। পূজায় দর্শনার্থীদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী-ই বা হতে পারে!