‘সার্বক্ষণিক ডাক্তার ছাড়া ক্লিনিক ব্যবসা নয়’

পঞ্চগড়ের বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নেই। এজন্য ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক ডাক্তার ছাড়া ক্লিনিক ব্যবসা করা যাবে না বলে ক্লিনিক মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী। সেই সঙ্গে ক্লিনিক, ডায়াগনেস্টিকগুলোকে তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হচ্ছে। অতি শিগগিরই টিম মাঠে নামবে। ক্লিনিকে ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ক্লিনিক ডায়াগনেস্টিকগুলোতে চিকিৎসকদের প্রতি মাসের কাজের রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগে প্রেরণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে জেলার ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারের মালিকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন ক্লিনিক ব্যবসায় সরকারের নীতিমালা মানতে হবে সেই সঙ্গে শুধু নামে মাত্র ব্লাড ব্যাংক দিলে হবে না যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রক্ত গ্রহণ এবং প্রদান করতে হবে। প্রতিটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য জি এ মেশিন সচল করার ওপরেও জোর দেন সিভিল সার্জন।

এ সময় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিউল করিম রাজু, বি এম এ পঞ্চগড় শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আলম, সিনিয়ার কনসালট্যান্ট আমির হোসেন ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. খালেদ তৌহিদ পুলক, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ রায়হান বক্তব্য রাখেন।

সভায় ক্লিনিক মালিক এবং স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একমত পোষণ করেন।

এ সময় বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আলম জানান স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ক্লিনিক মালিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারগুলোকে জেলার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে।

সিনিয়ার কনসালট্যান্ট আমির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন জেলার ক্লিনিকগুলোর বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে মাছ বেশি নেই কিন্তু জেলের সংখ্যা বেশি। এজন্য ক্লিনিক মালিকরা রোগীদের নিয়ে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতায় নেমে যায়। এই অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পঞ্চগড়ের বেশির ভাগ ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে লজিস্টিক সাপোর্টের ঘাটতি আছে। অপারেশন থিয়েটারগুলো আরও আধুনিকায়ন করতে হবে।

সভায় শিশু বিশেষজ্ঞ জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মনোয়ার হোসেন জানান ক্লিনিকগুলোতে সিজারের সময় বাচ্চা প্রসবের পর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে নরমালে বাচ্চা প্রসবের পর নাকে ময়লা জমে থাকে পরে বাচ্চার শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্য ক্লিনিক মালিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শন দেন তিনি।

ক্লিনিক মালিকরা জানান পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। তাছাড়া একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নিযুক্ত করার ব্যয়ভার মিটানো খুব কঠিন হবে।

পরে মনিটরিং টিমে ক্লিনিক মালিকের প্রতিনিধি প্রেরণ করার নির্দেশনা দিয়ে সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী মতবিনিময় সভার সমাপ্তি করেন।