শান্তি চুক্তির পরও ইথিওপিয়ায় সংঘাত

শান্তি চুক্তির পরও ইথিওপিয়ায় সংঘাত

সংগৃহীত

শান্তি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও উত্তর ইথিওপিয়ায় সংঘাত যেন থামছে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে গত বৃহস্পতিবার দেওয়া একটি প্রতিবেদনে ইথিওপিয়ায় সংঘাতে জড়িত সবগুলো পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ কমিশনের ইথিওপিয়া বিষয়ক তিন সদস্যের ২১ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর সরকার ও টিগ্রে লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাপক নৃশংসতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ চান্দে ওসমান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করার সময় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংঘাত অবসান ঘটাতে গত বছর স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ব্যর্থ। এটি একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রাণঘাতী সংঘাতের অবসানের পথকে প্রশস্ত করতে পারত। ওই সংঘাত উত্তর ইথিওপিয়াজুড়ে সম্প্রদায়গুলোকে মরিয়া করে তুলেছে।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত টিগ্রেতে প্রায় ৬ লাখ বেসামরিক লোকজন মারা গেছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ওসমান বলেন, 'সহিংসতার অবসানে চুক্তিটি যে কেবল ব্যাপক শান্তি আনতেব্যর্থ হয়েছে তা নয়, (এখনও) নৃশংসতা চলছে এবং সংঘাত, সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতা এখন জাতীয় মাত্রার চূড়ান্ত পর্যায়ে।'

তিনি বলেন, কমিশনের তদন্তে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে ইথিওপিয়ার সরকার ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী এবং ইথিওপিয়ার ইরিত্রিয়ান বাহিনী উত্তরাঞ্চল জুড়ে গুরুতর লঙ্ঘন ও নৃশংস অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইথিওপিয়ার সরকার কার্যকরভাবে ঐসব লঙ্ঘনগুলো প্রতিরোধ বা তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরিবর্তে সরকার একটি ত্রুটিপূর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করেছে তবে যারা ঐ সংঘাতের শিকার তারা উপেক্ষিত হচ্ছে।

কমিশন মানবাধিকার কাউন্সিলকে ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জোরালো আন্তর্জাতিক তদন্ত অব্যাহত রাখা এবং পাবলিক রিপোর্টিং নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।